কেউ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হেরেছে প্রতিবন্ধকতা। হাজারো শিক্ষার্থীর জন্য তারা স্থাপন করেছে দৃষ্টান্ত। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাসহ শত বাধা পেরিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে তারা। তাদের মধ্যে আছে পাবনার শারীরিক প্রতিবন্ধী চাঁদ বাবু, মৌলভীবাজারের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হরিবল বোনার্জি। আর পারিবারিক ও আর্থিক টানাপড়েনের মধ্যেও ভালো করেছে রাজবাড়ীর হৃদয় খান।
আলো হয়ে উঠেছে চাঁদ বাবু : চার ভাই-বোনের মধ্যে বয়সে সবার বড় চাঁদ বাবু। ছোটবেলা থেকেই হাঁটু গেড়ে দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে চলাফেরা করে সে। তার দুই হাতের কবজিও বাঁকা। বাবা পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। দুই শতকের ওপর বসতভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই তাদের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবার অল্প আয় দিয়ে কোনোমতে চলে ছয়জনের সংসার। অর্থাভাবে চিকিত্সা হয়নি চাঁদের। তবে শারীরিক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও থেমে থাকেনি সে।
এ বছর পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমি থেকে এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় কম্পিউটার ট্রেডে জিপিএ ৪.৭৫ পেয়ে পাস করেছে চাঁদ। উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে চাঁদ ভবিষ্যতে একজন প্রকৌশলী হতে চায়।