এবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির ৩টি বইয়ে ভুল পাওয়া গেছে ৯টি। এ নিয়ে সংশোধনীও দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঢালীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, পৌরনীতি ও নাগরিকতা এই তিন বইয়ে ভুলগুলো ধরা পড়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ২০০ পৃষ্ঠায় রয়েছে- ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তবে এক্ষেত্রে হবে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু।
এদিকে, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ্যবইয়ের একটি অংশে ওয়েবসাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় হতভম্ব ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক বিবৃতিতে অভিযোগটি সঠিক বলে জানিয়েছেন বই রচনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। একইসাথে একে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি তাদের।
১৫ জানুয়ারি প্রথম আলো অনলাইনের মতামত কলামে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ে নকলের অভিযোগ তোলা হয়। লেখক নাদিম মাহমুদের অভিযোগ, বইটির অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। মতামত কলামটি নজরে আসে বইটি রচনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খানের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার করে নেন।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে ডক্টর জাফর ইকবাল বলেন, দক্ষ শিক্ষকরাই এসব পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনা করেন।
তবে, এ ভুলটি অনিচ্ছাকৃত দাবি করে তিনি জানান, পাঠ্যপুস্তকে কোনকিছু সংযোজনের ক্ষেত্রে রেফারেন্স উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ কাজের সাথে যুক্ত সবাইকেই দায় নিতে হবে। এর জন্য তড়িঘড়ি করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের প্রবণতাকেও দায়ী করেন তারা।
বইটির পরবর্তী সংস্করণে ভুল সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ড. জাফর ইকবাল।