গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সানু হোসেন (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের মোস্তফার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলা ও গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসীসুত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে একমাত্র মেয়ে কথা আক্তারকে না জানিয়ে সানু হোসেন তার কথিত স্বামী মো. রফিকুল ইসলামের সাথে উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের মোস্তফার বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সে মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে মেয়ে কথার সাথে যোগাযোগ করতো। কর্মজীবনে তারা কি কাজ করতো আশপাশের কেউ তা অবগত নয় বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে। ঐদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী বাসার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম ঐ বাসায় গিয়ে দেখে সানু হোসেন চিৎ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এসময় মনোয়ারার ডাকে সানো হোসেন কোন সাড়া না দেওয়ায় সে চিৎকার শুরু করে। তার ডাক চিৎকারের পার্শ্ববর্তী বাসার লোকজন এগিয়ে এসে দেখে সে মরে বিছানায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে কথা আক্তার ঢাকা উত্তরখানের বাসা থেকে কালিয়াকৈর থানায় এসে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহতের মেয়ে কথা আক্তার তার মায়ের কথিত স্বামী মো. রফিকুল ইসলামকে সে চিনে না। এমনকি কোন দিন তাকে দেখেনি। তাছাড়া তার বাবার মৃত্যুর পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এমন কোন তথ্য তার জানা নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।