মেজর জেনারেল আবুল হোসেন আজাদ (এনডিসি, পিএসসি) এর শুভ আগমনে উপজেলার জনগণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে গলাচিপা ফেরিঘাটে হাজার হাজার জনতা ভিড় করে। স্লোগানে স্লোগানে ও ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরুণ করে নেয়া হয়।
আবুল হোসেন ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। তিনি বুয়েট থেকে পুরকৌশল বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়া তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ইএমবিএ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এমফিল সম্পন্ন করেছেন।
১৯৮১ সালের ২৭ ডিসেম্বর আবুল হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সেনা সদরদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ শাখার জিএসও এবং ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিনিয়র প্রশিক্ষক ও প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
তিনি ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, এক্সপোসিভ অর্ডন্যান্স ব্যাটালিয়ন-কুয়েত, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
আবুল হোসেন বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন পূর্ত কাজে জড়িত ছিলেন। তিনি চিম্বুক-থানচি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার ছিলেন। এছাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পূর্ত পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি এমআইএসটির কমান্ডান্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কমান্ডান্ট হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর আজীবন ফেলো এবং এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ, ইউএসএ এর একজন সম্মানিত ফেলো।