ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ সম্মেলন আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর)। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেই ডজনে ডজনে আগ্রহী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন ও প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ঢাকার দুই শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।
দিণক্ষণ জানানোর পরই এই আয়োজনকে ঘিরে উজ্জীবিত হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, সক্রিয় হন পদপ্রত্যাশীরা। কমিটিতে পছন্দ অনুয়ায়ী স্থান পেতে দৌড়ঝাঁপ করে চলেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতারা। এরইমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা যে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছেন দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরের দুই শাখার পরদিন (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় হবে এই সম্মেলন। সবশেষ আগামী ৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন। গত ২৭ নভেম্বর এ তথ্য নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রথমে ৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্থগিত করা হলে দ্বিতীয় দফায় ৮ ও ৯ ডিসেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজনের কথা জানানো হয়। সেটি স্থগিত হলে তৃতীয় দফায় দুই দিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলনের নতুন তারিখ জানানো হয়।
এর আগে সংগঠনটির সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।
