পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিল্পায়নের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে শিল্প স্থাপনে পরিবেশের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হঠাৎ করেই সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার আঘাত। লাখ লাখ মানুষ পানি বন্দি। তখনই নানান পদক্ষেপ নেয় সরকার। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। সেখানে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দেন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
এরই অংশ হিসেবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা অনুদান দেয় ৪৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই কোন র্দূযোগ দেখা দেয় তখন আপনারা নিজেরাই এগিয়ে আসেন। আমাদের চেষ্টা দেশের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন করে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সেই সাথে বাংলাদেশকে উন্নত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেন আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে পারি।
পদ্মা সেতুর সুফল তুলে ধরেন সরকার প্রধান বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে, যা দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করবে। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা জানান, শুধু রপ্তানি নয়, দেশের ভেতরেও যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উৎপাদিত পণ্য যেন গ্রামের মানুষও কিনতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল নীতিমালা করা হয়েছে। নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করতে সক্ষম হয়েছি। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হবে। সেখানেও আপনারা উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্র তৈরি হবে।