মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবিতে অভ্যন্তরীণ রুটে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ ধর্মঘট শুরু হয়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এ ছাড়া ভোলা-বরিশাল নৌপথে দ্বিতীয় দিনের মতো লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভোলার মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল গিয়ে দেখা যায়, চরফ্যাশনের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে টার্মিনালের সামনে থেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। ভোলা থেকে চরফ্যাশনের বাস ভাড়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা হলেও মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
মো. সাহাদ নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি জরুরি কাজে পরিবার নিয়ে চরফ্যাশন যাবেন। টার্মিনালে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে চরফ্যাশন যাচ্ছেন।
আমেনা বেগম নামের একজন জানান, তিনি চরফ্যাশন যাবেন। কিন্তু বাস না পেয়ে আটকা পড়েছেন। মাইক্রোবাস ও সিএনজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া চাইছে। কিন্তু এত টাকা তার কাছে নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বাস টার্মিনালে বসে আছেন।
আমিনুল ইসলাম নামের একজন জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভোলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতে আসেন। আবার আশপাশের উপজেলা থেকে শত শত রোগী এ দিন চিকিৎসা নিতে ভোলায় আসেন। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় এসব রোগী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মালিক সমিতির উচিত ছিল আরও ৩-৪ দিন আগে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া।
ভোলা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম জানান, উচ্চ আদালতের রায়ে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (তিন চাকার যানবাহন) চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ভোলায় সেটি মানা হচ্ছে না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কাছে থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবি জানিয়ে এলেও সেগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। তাই সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্তে তারা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছেন।