প্রতিনিধি (ভোলা)
ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস চাই ও গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠার দাবীতে ভোলায় ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) বেলা ১১.০০টায় শহরের কে-জাহান মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটির সভাপতি মুবাশ্বির উল্যাহ চৌধূরী, দৈনিক
আজকের ভোলা পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, ভোলা সদর ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি এইচ এম জাকির, হিউম্যান রাইটস সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসেন, জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি অবিনাশ নন্দি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবিদ আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ রয়েছে এবং নর্থ- ২ কূপ থেকে আরও ৬২০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাস মজুদ থাকা সত্বেও ভোলায় শতাধিক ইটভাটায়, হোটেল রেস্তোরাঁ এবং গৃহস্থালি কাজে জ্বালানী হিসাবে লাকড়ি ব্যবহার করে দিনে দিনে বনের কাঠ উজার করা হচ্ছে। ঘূর্ণীঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বন আমাদের প্রতিরক্ষা দিচ্ছে। এভাবে জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার করলে একদিন ভোলার বনেন উজার হয়ে যাবে, ধ্বংস হবে পরিবেশ প্রতিবেশ। তাই কূপ থেকে উত্তোলিত গ্যাস ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে আমরা ভোলাবাসী স্বাগত জানিয়েছি। সরকার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মাধ্যমে ঘরে ঘরে গ্যাস দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে ৪০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসিয়ে ইতিমধ্যে ২৩৫০ পরিবারকে গ্যাস সংযোগ দেয়া দিয়েছে। আরও ২০ কিলোমিটার পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের আওতায় এনে ২০০ পরিবারকে সংযোগ দেয়ার নিমিত্তে রাইজার বসিয়েছে এবং আরও ৪০০০ হাজার পরিবারের কাছ থেকে আবেদন জমা নেয়া হলেও কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে ঘরে ঘরে গ্যাস দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়।
তারা বলেন, বর্তমানে ভেলাবাসীকে গ্যাস না দিয়ে ভোলার গ্যাস অন্যত্র নেয়ার সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত হয়েছি। তাছাড়া ভোলা থেকে গ্যাস নিতে হলে ভোলা-বরিশালের ব্রীজ করার দাবী পূরণ করার আশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেটাও না করে ভোলার গ্যাস সিলিন্ডারে করে অন্যত্র নেওয়ার সিদ্ধান্তের যুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কথা জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, সরকারের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগে ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করে ভোলায় গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। গ্যাস সমৃদ্ধ ভোলার উন্নয়নে ভোলায় ইপিজেড গড়ে তোলা, মৎস প্রক্রিয়াজাতকরন কারখানা স্থাপন, ভোলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও কলেজগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে শুন্য পদ পুরন করা, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সহ ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণ করার দাবী জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে শহরে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে। পরে ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।