মধুপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি-
টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সাবেক এমপি খঃ আনোয়ারুল হক এমপি সাহেবে’র ৬৬ তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) মধুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাংলালিংক টাওয়ার ভবনের হলরুমে স্কুল কলেজের শিক্ষক, রাজনৈতিক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবি, তাঁর পরিবারে’র সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষ, আমন্ত্রিত অতিথি, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের অংশ গ্রহনে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়েছে আলোকিত সাবেক এমপি’র শুভদিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাসট্যান্ড জামে মসজিদের ঈমাম মোঃ আব্দুল ওয়াহাব সাহেবের পরিচালনায় দোয়া ও কেক কাটা হয়। পরে এমপি সাহেবের রাজনৈতিক, মধুপুর-ধনবাড়ীর বিভিন্নি উন্নয়ন কর্মকান্ড ও তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তাগন প্রানবন্ত আলোকপাত করেন।
মোঃ শামীম হোসেনে’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন মধুপুর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম শহীদ, সাবেক সভাপতি এম এ রউফ, দৈনিক আজকের পত্রিকার টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মোঃ রেজাউল করিম ছিদ্দিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রওশন আলম কনক প্রমুখ।
এক নজরে আনোয়ার এমপি-
টাংগাইল-০১ মধুপুর-ধনবাড়ী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক( আনোয়ার এমপি) মধুপুর উপজেলার জটাবাড়ী ঐতিহ্যবাহী ফকির পরিবারে ১৯৫৬ সনে ১২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা খন্দকার আজিজুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। দাদা ছিলেন শিক্ষক। তিনি এলাকাতেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের পর ১৯৭৩/১৯৭৪ সনে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেন। ১৯৭৮ সালের অনার্স এবং দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৭৯ সালে মাষ্টার্স (অর্থনীতি) ডিগ্রি লাভ করেন, ১৯৮২ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ শাহবাগ সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমীতে গবেষণা সহকারী হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন ক্ষমতাশীল দলের প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার সাহেব কে পরাজিত করে মাত্র ৩০ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় মধুপুর-ধনবাড়ী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাড়ান এবং ১৯৮৯-৯০ সনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ ও পুন:নির্মাণে অবদান রাখেন।
১৯৯০ সালের ৩১ জানুয়ারী বুধবার জাতীয় সংসদে মধুপুর ডিগ্রি কলেজ, ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজ, মধুপুর রাণী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয় ও মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কে সরকারীকরণের জন্য লিখিতভাবে দাবী উত্থাপন করেন। ১৯৯০-৯১ সালের বাজেট অধিবেশনে জাতীয় সংসদে ধনবাড়ী কে পুর্নাংগ উপজেলা ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মধুপুর রাবার বাগান তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পারিবারিক জীবনে ১৯৮৫ সালে ধনবাড়ী উপজেলার শামসুন্নাহার রোজীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শামসুন্নাহার রোজী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। দুরারোগ্য ব্যাধিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা শ্যামলীর বাসায় ইন্তেকাল করেন।
তার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে অভি খন্দকার সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স এবং একজন ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার। ছেলে রবিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স (ফাষ্ট ক্লাস) ও মাষ্টার্স (ফাষ্ট ক্লাস)।