মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খানকে (৬৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া নয়টার দিকে শহরের আছমত আলী খান সড়কের দুই নং শকুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি রাত সোয়া নয়টায় দিকে শাক-সবজি কিনে সদর মডেল থানার সামনে থেকে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি বাসার কাছে পৌঁছালে ৪ থেকে ৫ সদস্যের একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তার গতি রোধ করে। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখোশধারী লোকেরা চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা ও দুই পায়ে জখম করে। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মজিবুর রহমান খানের ভাগ্নে নাছির উদ্দিন খান বলেন, আমার মামা আমার সাথে একই বাসায় থাকে। আমরা বাসার ৫০ গজ সামনে এ ঘটনা ঘটে। তার উপর হামলা হলে তিনি চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে নিচে নেমে আসি। তখন দেখি ৪ থেকে ৫ জন লোক মুখোশ পড়া অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তার ভাগ্নে সজল খান অভিযোগ করে বলেন, আমার কাকা বিগত দিনে দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আজ তার নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিন আরেফীন বলেন, তার মাথায় ও দুই পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে ভর্তি নিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলাকারীদের দ্রুত খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে।