ওই তরুণীর বাড়ি নেত্রকোণা জেলার সুসংদূর্গাপুর বাদুয়া গ্রামে। প্রেমিক বিল্লাল হোসেন (২৩) গৌরীপুর উপজেলার গুজিকা গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে। তাঁরা চট্রগ্রাম হালি শহরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ঘটনার পর থেকে বিল্লাল আত্মগোপনে রয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় কর্মক্ষেত্রে তিন বছর আগে তাদের পরিচয় হয়। পরে তা পরিণয়ে গড়ায়। এক পর্যায়ে বিল্লাল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন প্রেমিক বিল্লাল নিজ বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই তিনি বিয়ে ও অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে বিল্লালের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাচান জানান- গত বৃহস্পতিবার বিল্লাল বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, শুক্রবার তার বর যাত্রার কথা ছিল। তবে এদিন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে দুর্গাপুরের এক তরুণী এসে নিজেকে বিল্লালের প্রেমিকা দাবি করেন ও তিনি অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আপোষ মিমাংসার আশ্বাস দিলে তাঁরা চলে যান। কিন্তু বিল্লাল ও তার পরিবার মেয়েটিতে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই শুক্রবার বিকাল থেকে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে বিল্লালের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
মেয়েটির বাবা জানান- বিল্লালের সাথে আমার মেয়ের সম্পর্ক আছে বিষয়টি সে আগেই আমাদের জানিয়েছিল। এখন সে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি আমার মেয়ের অধিকার চাই।
বিল্লালের মা জাহানারা বেগম বলেন- আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল, এসময় হঠাৎ মেয়েটি এসে জানায় বিল্লালের সাথে তার সম্পর্ক আছে ও সে অন্তঃসত্ত্বা। বিল্লাল কোরআন শপথ করে বলেছে মেয়েটির সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তাই আমরা এই মেয়েকে মেনে নিতে পারব না।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান- বিষয়টি কেউ পুলিশকে জানায়নি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।