লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে আমেনা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে বাড়ির পিছনের একটি বিলে মৃতদেহটি পড়ে ছিলো। আমেনা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের হেজু মাষ্টার বাড়ির শ্রমিক দিদার হেসেনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মাহমুদুল মাষ্টার বাড়ির হাফিজ উল্ল্যার মেয়ে। মিতু (৬), মরিয়ম (৪), তামান্না (২) নামের আমেনার ৩ কন্যা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে তোফায়েল আহম্মেদ নামে এক কৃষক মাঠে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি এক নারীর মৃতদেহ দেখে চিৎকার করেন। বাড়ির লোকজন এসে মৃতদেহটি আমােনার বলে শনাক্ত করে। পরে পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। তোফায়েল আহম্মেদ একই গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে।
স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন , কেউ হয়তো আমেনাকে পুড়িয়ে হত্যা করে মৃতদেহ ফসলি ক্ষেতে ফেলে রেখেছে। কিন্তু পরিবারের লোকজনের দাবি মিরকি রোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ।
আমেনার ছোট বোন তাহমিনা আক্তার জানান,
রাতে সে এবং আমেনা একই সাথে ঘুমিয়েছে, ভগ্নীপতি দিদার পাশের আরেকটি ঘরে ঘুমিয়েছে।
ঘুমথেকে উঠে সকাল ৮ টার দিকে নাস্তা খাওয়ার পর। দিদার কাজে এবং আমি বাড়িতে চলে যাই।
পরে খবর পাই আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে।
আমেনার মা বিবি আয়েশা বলেন, আমেনার ১৫ বছর বয়স থেকেই মিরকি রোগ আছে। আজ সকালে সে গরুর জন্য ঘাঁস কাটতে যায় সেখানেই মিরকি রোগ উঠে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়,২০১৪ সালে দিদার হোসেনের সাথে আমেনার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি মেয়ে আছে। তাদের মধ্যে সাংসারিক কোন ঝামেলা ছিলো না। তবে আমেনার উপর মিরকি রোগ ছিলো। বেশ কয়েকবার কবিরাজের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে তার মিরকি রোগটি থেকেই যায়। ৩০ জুলাই শনিবার সকাল ৮- ১০টার মধ্যে যেকোন সময় সে ঘাঁস কাটতে বাড়ির পিছনের ক্ষেতে যায়। তখন তার ওই রোগটা উঠে মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির মহিলারা তাকে ক্ষেত থেকে এনে শরিরে গরম তেল মালিশ করে তাই শরিরে কিছু জায়গাতে পোড়ার মত মনে হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নান্ত করার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমেনার স্বামী দিদারকে আটক করা হয়েছে। ময়নান্তের পর মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এবিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।