চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বি/এম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে লাগা আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট। ধারণা করা হচ্ছে এই আগুন লেগেছে রাসায়নিকের কন্টেইনার বিস্ফোরণ থেকে। এর শব্দ শোনা গেছে চার কিলোমিটার দূর থেকেও, এতে ভেঙে পড়েছে আশপাশের ভবনের কাচ।
এতে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশসহ আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক। শনিবার রাত ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি–ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে কনটেইনার ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
আগুনে বেশ হতাহতের আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এরই মধ্যে আহত প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, এখন পর্যন্ত ২৬জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরো ১২টি ইউনিট। বর্তমানে এ ভয়াবহ আগুন নেভাতে কাজ করছে ২৯টি ইউনিট।গুরুতর আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। কনটেইনার ডিপোর কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে। কর্মীরা জানিয়েছেন কনটেইনারগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ ছিল।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগুনের ভয়বহতার কারণে কনটেইনার ডিপোর ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কেমিক্যালের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে তাদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরো অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীর মৃত্যুসহ কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।প্রতিবেদন