সরকার ঘোষিত দস্যু মুক্ত সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতা শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে গত তিন দিনে ৭/৮ জনের একদল দস্যু সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ির খাল ও কলামুলা খালে মৎস্য আহরনে নিয়োজিত জেলেদের উপর হামলা চালায়। তারা জেলেদের নির্দয় মারপিট করে আহরিত মাছ ও নৌকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় তারা ঐ এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে এক এক নৌকা থেকে একজন করে কমপক্ষে ১০ জেলে কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের বেধরক মারপিটে লিটন নামের এক জেলে আহত হয়। তার বাড়ি বনসংলগ্ন জিউধারা গ্রামে।
এসময় তারা কমপক্ষে ১০ জেলেকে অপহরন করেছে। ফিরে আসা জেলেরা জানায়, গত দু’তিন ধরে ৭/৮ জনের একদল বনদস্যু ঐ এলাকার জেলেদের উপর হামলা করছে। তারা শরণখোলার বান্ধাকাটা গ্রামের আলিম মিয়ার নৌকার জেলে আছাদ মিয়া (৩০)হানু মিয়া (৩৮)ও রতিয়া রাজাপুর গ্রামের সগির আকনের নৌকার এক জেলে সহ কমপক্ষে ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
তারা জেলেদের জিম্মি করে নৌকা প্রতি ২০/৩০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেছে। দস্যুদের কাছে ৩ টি দেশী তৈরী পাইপগান ছিলো বলে জেলেরা জানায়।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ধানসাগর ষ্টেশন কর্মকর্তা আঃ সবুর জানান, তিনি জেলেদের মুখে অপহরনের কথা শুনেছেন। তার অধীনস্থ টহল ফাঁড়ি গুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারের ব্যাপারে উপরস্থ কর্মকতাদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গতঃ সরকারের কঠোর মনোভাব ও র্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধে টিকতে না পেরে শতশত দস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সুন্দরবন দস্যু ঘোষনা করা হয়।
বনজীবীরা কোন উদ্বেগ ও আতংক ছাড়াই সুন্দরবনে তাদের জীবন জীবীকা চালিয়ে আসছিলো। হঠাৎ করে দস্যুদের এ তান্ডবের খবরে জেলে বাওয়ালীদের মধ্যে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে।