বৈশাখের কবিতা।

প্রকাশিত: ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৪

★ এসো হে পহেলা বৈশাখ -১৪৩১ বাংলা★
**-জাহারুল ইসলাম জীবন-**
(কবি,সাংবাদিক,লেখক ও গবেষক)
**************************************
★এ-সো হে পহেলা বৈশাখ -১৪৩১ বাংলা
বর্ষ শুরুর শূভ বারতা নিয়ে
ঋতু পরিবর্তনের প্রকৃতির নব কলবরে
বাংলা মায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
★সো-র্হাদ্য সম্প্রীতির মিলন বন্ধনে
আছো তুমি বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস আর ঐতির্য্যে মিশে।
★হে -সে তোমায় বরণ করি বর্ষ ডালা সাঁজিয়ে
পুরাতন কে পিছনে ফেলে নবরুপে
নতুনের আমন্তনে উৎসবের আমেজে।
★প-ল্লব পূষ্পের সু-ঘ্রাণে
নানা ফলের রসালো রসের গন্ধে
বৈশাখ তোমার ভাপসা গরমেও
বাঙালী রসনায় মনে প্রানে তৃপ্তি আনে।
★হে-লে দুলে নাচের তালে
নানান রঙের ব্যাঙ্গ মোরাল চিএে
গ্রামের উৎসব লেগেছে আজ শহরের গাঁয়ে।
★লা-ল সাদা আর হলুদের দোলায়
সকল বর্ণের মানুষ বেজায় সেঁজেছে
নববর্ষের সাঁজে বৈশাখ তোমায় বরণ-
করিতে।
★বৈ-শাখ তোমার আগমনে
হালখাতার উৎসব চলে সকল ব্যবসা-
প্রতিষ্ঠানে।
কাঁচা মরিচ আর পিয়াজের সাথে পান্তা-
ইলিশ খাওয়ার জন্য ধুম পড়েছে
রমনা পার্কের বটমূল সহ সারা বাংলাতে।
★শা-ড়ী পাঞ্জাবী আর ধূতিতে
বাঙ্গালীয়ানা পোষাকে রংতুলির নকঁশা এঁকে বাদ্য ধ্বনির তালে তালে সবাই আসিতেছে গ্রাম বাংলার বৈশাখী মেলাতে।
★খ-রত তাপে চৈএের শেষে
ক্ষির পিঠা আর হাতে কাঁটা সেমাইয়ের গন্ধে চারিদিকে উৎসবের জোয়ার উঁঠে
বৈশাখ তোমার আগমনে।
**বৈশাখ তুমি রুদ্র রুপী
কালবৈশাখী রুপে কালনাগিনী
যে তোমকে বরণ করে
তাকেই আঘাত করো তুমি নির্দয় বেশে।
গরিবের শেষ আশ্রয়ের সম্বল টুকুও
কেড়ে নাও তুমি তোমার আগ্রাসী তান্ডবে
কত জনকে মারো ডুঁবিয়ে
পদ্মা মেঘনা আর যমুনার বুকে।
হাঁসি মূখে তোমায় বরণ করি বড় আশা নিয়ে
শেষ বিদায় জানাই তোমায় স্বজন হারানোর- আর্তনাতে।
সুখ দু:খের দোলায় দুলে
আসো তুমি বাংলা মায়ের কোলে
বর্ষ বরণের মহিমায় নববর্ষের সূচনায়
ফসল রোপনের বার্তা নিয়ে আসো তুমি প্রথম- প্রহরে।
বৈশাখ তোমায় বরণ করি মঙ্গল কল্যাণ- কামনায়
এসো তুমি আবার ফিরে বাংলা মায়ের কোলে
শূভ নববর্ষ হে পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ বাংলা- রুপে।
**-★জাহারুল ইসলাম জীবন★-** কবি,সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক ( জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত)।