রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থী স্থানান্তর: যুক্তরাজ্যের ব্যয় ছাড়াতে পারে ৬০ কোটি পাউন্ড

প্রকাশিত: ৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৪

লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে থাকা আরো ১৪৪ জন বাংলাদেশিকে জাতিসংঘের স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ ২৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম৷

আশ্রয়প্রার্থীদের ব্রিটিশ ভূখণ্ডে না রেখে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে পাঠানোর ঘোষণা আসে ২০২২ সালে৷ এই নীতির অধীনে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঋষি সুনাকের সরকার৷ কিন্তু আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে এখন পর্যন্ত কাউকেই রুয়ান্ডায় পাঠানো সম্ভব হয়নি৷

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে এর মধ্যেই রুয়ান্ডা সরকারকে ২২ কোটি পাউন্ডেরও বেশি অর্থ দিয়েছে যুক্তরাজ্য৷ আগামী তিন বছরে আরো ১৫ কোটি পাউন্ড দিতে সম্মত হয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷ দেশটির ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও) জানিয়েছে, তিনশ আশ্রয়প্রার্থীকে দেশটিতে পাঠানো হলে রুয়ান্ডাকে এককালীন ১২ কোটি পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য৷

রুয়ান্ডায় পাঠানো প্রত্যেক আশ্রয়প্রার্থীর ব্যয় মেটাতে দেশটিকে আরো এক লাখ ৫০ হাজার ৮৭৪ পাউন্ড দিতে হবে যুক্তরাজ্য সরকারকে৷ এরসঙ্গে বিমান ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় যুক্ত করা হলে মোট খরচ ৬০ কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে এনএও৷

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ব্যয় পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, সরকার স্বীকার করেছে এটি একটি ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এবং অভিনব নীতি’ এবং চূড়ান্ত ব্যয় নির্ভর করবে রুয়ান্ডায় পাঠানো আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যার ওপর৷

গত বছর, যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট সুনাক সরকারের নেয়া এই পরিকল্পনাটিকে বেআইনি বলে রায় দিয়েছে৷ রুয়ান্ডার সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আদালত জানিয়েছে, সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানো হলে তাতে ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হবে৷