জেল থেকেই রানাকে খুনের পরিকল্পনা করেন বড় মনির

প্রকাশিত: ২:৪২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৩

আশুলিয়ায় তিন খুনে গ্রেফতার সাগরকে মুক্ত করতে ২৮ লাখ টাকা খরচ

কারাগারে বসেই সন্ত্রাসীদের দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কিলার গ্রুপের সদস্যকে জেলখানায় ভাড়া করা হয়। তাকে জামিনে মুক্ত করার আইনি সহায়তার খরচও কারাগার থেকে দেওয়া হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঐ রাজনৈতিক নেতাকে খুন করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়। এরপর জামিনে মুক্ত হওয়া ঐ খুনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ট্রিপল মার্ডারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর ঘটনা ফাঁস হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির এক ভয়ংকর খুনের পরিকল্পনা করেন। এর আগে গত ১৬ মে বড় মনির একটি ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল জেলা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বড় মনিরকে দেওয়া হয় টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে তিন বছর ধরে বন্দি সাগর আলীর সেলে। এর আগে ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চার জনকে খুনের ঘটনায় সাগর আলীকে র‌্যাব গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে সাগর টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি।

কারাগারে সাগরের সেলে বড় মনির আসার পর তাদের মধ্যে সখ্য হয়। সাগরের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর হওয়ায় আগে থেকেই বড় মনিরের নাম শুনেছে। এবার একই সেলে থাকার সুবাদে অনেকটা গুরু-শিষ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বড় মনির সাগরের মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে আইনজীবী নিয়োগ করেন। মধুপুরের সেই চার খুনের মামলায় সাগরকে জামিন করানোর ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য খরচ হয় ২৮ লাখ টাকা। শর্ত ছিল যে কারাগার থেকে সাগর বের হয়ে টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে খুন করতে হবে। এই খুন করতে পারলে তাকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে সাগর জামিনে মুক্তি পান।