সাবমেরিনে করে যেভাবে ইউরোপে কোকেন পাচার হচ্ছে দৈনিক ভোরের আওয়াজ দৈনিক ভোরের আওয়াজ প্রকাশিত: ৭:০১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৩ আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানিরা এক দেশ থেকে আরেক দেশে নানা বিচিত্র উপায়ে মাদক পাচার করে থাকে – এ নিয়ে নানা খবর অনেকেই পড়েছেন । কিন্তু এজন্য পাচারকারীরা নিজস্ব সাবমেরিন বানিয়ে হাজার হাজার মাইল সাগর পাড়ি দিচ্ছে – এমনটা খুব একটা শোনা যায় না। ইউরোপে এমনই একটি কোকেন-বহনকারী সাবমেরিন প্রথম ধরা পড়ে ২০১৯ সালে। বিবিসির সংবাদদাতা নিক বীক সেই সাবমেরিনের ভেতরে-বাইরে দেখে এসে বিস্তারিত জানাচ্ছেন এই প্রতিবেদনে। আমি এখন সেই সাবমেরিনটার ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছি – যেটা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপে কোকেনের চালান নিয়ে এসেছিল। সাবমেরিনটা ২০ মিটার বা ৬৫ ফুট লম্বা, বানানো হয়েছে ফাইবারগ্লাস দিয়ে। সবচেয়ে অবিশ্বাস্য যে ব্যাপারটা তা হলো এটা হোম-মেড অর্থাৎ চোরাচালানিরা নিজেরাই এটি বানিয়েছে। সাবমেরিনটার ওপরে উঠে আমি কোনমতে ম্যানহোলের মত ঢাকনাটা তুলে ভেতরে ঢুকলাম। ভেতরটা খুবই সংকীর্ণ, দম বন্ধ হয়ে আসে। আর যে প্রযুক্তিতে এটা বানানো হয়েছে তা একেবারেই আদিম। কিন্তু এরই ভেতরে বসে তিনজন লোক ২৭টি দীর্ঘ দিন ও রাত কাটিয়েছে, পাড়ি দিয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর । সাবমেরিনটার ভেতরের দিকে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেখান দিয়ে রোদ ঢোকার চেষ্টা করছে। সামনে একটা স্টিয়ারিং হুইল, প্রাথমিক স্তরের দু’চারটে ডায়াল, আর একটা মরচে-পড়া চাবি – এখনো ইগনিশন-হোলে ঢোকানো। দেখেই বোঝা যায়, এই সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন হবার জন্য আসা একজনের কেন এটাকে একটা ‘মৃত্যু ফাঁদ’ বলে মনে হয়েছিল। SHARES অপরাধ বিষয়: