ঢাকা থেকে চুড়ি হওয়া স্বর্ন উদ্ধার হলো কুষ্টিয়ার স্বর্নপট্টিতে

প্রকাশিত: ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪

সাব্বির বিশ্বাস,
উপজেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া সদর।

কুষ্টিয়ার স্বর্নপট্টি থেকে উদ্ধার হলো ঢাকা থেকে চুরি হওয়া স্বর্ন। ঢাকা থেকে চুরি হওয়া ১০০ বড়ি স্বর্ন উদ্ধারে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। গতকাল দিনব্যাপী জেলার মিরপুর ও কুষ্টিয়া মডেল থানার আওতাধীন সব যায়গায় অভিযান চালিয়েছে তারা। বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা যায় ঢাকা থেকে চুরি হওয়া ১০০ বড়ি স্বর্ন উদ্ধারে গত ২৪ শে মার্চ ঢাকার একটি গোয়েন্দা দল কুষ্টিয়ায় এসে অবস্থান করছে। ২৫ শে মার্চ সকাল ১০ টায় পোরাদাহ বিশ্বাস জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই এর সাথে জড়িত হোসেন আলী নামক একজনকে গ্রেফতার করে। হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার মিরপুর সহ বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালিয়ে আরিফ, হাসান আলী, স্বজল, রফিক এবং নাসিরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের নিয়ে একইদিন বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া সদর এর সোনাপট্টিতে সেত্রেতারি জুয়েলার্স সহ বেশ কয়েকটি জুয়েলার্সে অভিযান চালায়।এ অভিযানে ১০০ বড়ি স্বর্নের মধ্যে বড় একটা অংশ উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গোপনসুএে জানা যায় সোনাপট্টিতে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা চোরাই এবং ছিনতাই হওয়া স্বর্ন বিক্রি করে।এরকম তথ্য পেয়েই গোয়েন্দা দল কুষ্টিয়ার স্বর্নপট্টিতে অভিযান চালিয়ে জেলা স্বর্ন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো আনিসুর রহমান আনিস ৬ বড়ি বসাক জুয়েলার্স এর সত্বাধিকার মনার ছোটভাই ধন্জয় পোরাদাহে বিশ্বাস জুয়েলার্স, মালিক হোসেনের থেকে ৫ বড়ি স্বর্ন কিনছে বলে জানা যায়।মাস খানেক আগেও আনিছুর রহমান আনিসের একাউন্টে ৯ লক্ষ টাকার উপরে জমা হয়। সেই টাকা পরবর্তীতে বগুড়ার পার্টি নুয়ে যায়। এ বিষয় আনিসের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন ১৫ / ২০ দিন আগে স্বর্ন কিনেছিলাম যা রিকভারি হিসেবে পুলিশ এর কাছে জমা দিয়ে দিয়েছি । তারা আরো কয়েক জায়গায় এই স্বর্ন বিক্রি করেছে বলে জানান। তার একাউন্টে টাকা আসার বিষয়ে জানতে চাইলে জানান বগুড়ার এক পার্টি ভুল করে আমার একাউন্টে টাকা পাঠান। পরবর্তীতে আমি সেই টাকা ফেরত দেই।কিন্তু টাকা প্রদান কারীর কোন নিদিষ্ট ঠিকানা রাখিনি।ছিনতাই হওয়া সোনা উদ্ধারে বসাক জুয়েলার্সের সত্বাধীকার মনা বলেন আমার ছোট ভাই ধনঞ্জয় ১০/২০ দিন আগে পোরাদহ বাজারের বিশ্বাস জুয়েলার্সের মালিক হোসেনের থেকে ৫ বড়ি স্বর্ন কিনেছিলো।সেটা যে ছিনাইকারী সোনা আমরা তা কি করে বুঝবো। একজন জুয়েলার্সের মালিক এসে বিক্রি আমরা কিনেছিলাম।
ডিবি পুলিশের কাচে আমি সেি পরিমান সোনা ফিরিয়ে দিয়েছি।আপনাদের আর কিছু জানার থাকলে জুয়েলার্সের মালিক সমিতির সাথে কথা বলেন। অন্যদিকে জুয়েলার্সের মালিক সমিতির এক নেতা গোপনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কুষ্টিয়ার সোনাপট্টির বসাক জুয়েলার্সের ২০ বড়ি আরো ২ টি জুয়েলার্স ৪০ বড়ি সোনা কিনেছিল। তবে এই অভিযানে সাংবাদিকদের মুকমুখো হয়ে পরিস্কার করে কিছু বলেন নি। তারা জানিয়েছেন পরবর্তীতে তাদের মিডিয়া উইং থেকে বিসয়টি জানানো হবে। তদন্ত সার্থে আপাদাত কিছু জানানো যাচ্ছে না।